নিউজ ডেস্ক :: খুলনায় স্বর্ণ চুরি চক্রের মূল হোতা মহানগর মহিলা শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদিকা সাদিয়া আক্তার মুক্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিরুল ইসলাম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মুক্তা খুলনা নগরের সোনাডাঙ্গা গুহা রেস্টুরেন্টের মালিক শুকুর আলীর স্ত্রী।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বুলবুল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন মুক্তা। দুপুরে ডাকাতদলের অন্য সহযোগীদের বিষয়ে তথ্য নিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত চার দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত সোমবার (৯ মার্চ) দিনগত গভীর রাতে ডাকাতির ঘটনায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মুক্তাকে হরিণটানা এলাকার বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেফতারের সময় মুক্তার কাছ থেকে ১২ ভরি ৩ আনা স্বর্ণ ও নগদ দুই লাখ ৮২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) সূত্রে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে রাজধানীর খিলগাঁও থানায়ও স্বর্ণালংকার চুরির মামলা রয়েছে। গত সোমবার মুক্তাকে গ্রেফতার করা হলেও অভিযান অব্যাহত থাকার কারণে তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এখন পর্যন্ত চোরাই স্বর্ণালংকার চক্রের সহযোগী ফারুক ও আবদুল আলীমকে আটক করা হয়েছে। চক্রের অন্য সহযোগীদের আটকের চেষ্টা চলছে। আসামি মুক্তা ও তার স্বামী এর আগেই ঢাকায় ফ্ল্যাট বাড়ি ভাড়া নেওয়ার নামে বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি করার সময় ধরা পড়েছিল।
সূত্র আরও জানায়, স্বর্ণ পাচারের সঙ্গে মুক্তা যুক্ত রয়েছেন। স্বর্ণ কেনাবেচার সঙ্গে বড় ব্যবসায়ীসহ সিন্ডিকেট যুক্ত। স্বর্ণ চোরাই সিন্ডিকেটের হোতা সাদিয়া ও তার গ্যাং।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি বিকেলে খুলনা নগরের বাবু খান রোডস্থ ব্যবসায়ী কাজী মঞ্জুরুল ইসলামের বাড়িতে দুর্র্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
এ সময় তার বাড়ি থেকে ৫০ ভরি স্বর্ণ, নগদ ২৯ লাখ ২৫ হাজার ৫৫০ টাকা নিয়ে যায় ডাকাতরা। এ ঘটনায় মঞ্জুরুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা দায়ের করেন।
পাঠকের মতামত: